গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহাগ মিয়া গ্রেপ্তার
খবরের সময় ডেস্ক:
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকা হতে গৃহবধু ভিকটিম(২৩)কে অপহরণ করে প্রাইভেটকার যোগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায় নিয়ে এসে একটি রুমের ভিতর আটক রাখে।পরবর্তীতে ভিকটিমকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে কোকাকোলার সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অজ্ঞান করে ০৩ বন্ধু সারা রাত পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারন করে।উক্ত অপহরণ ও গণধর্ষণের মূলহোতা সোহাগ উক্ত পর্ণোগ্রাফী ভিডিও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি সহ মিডিয়ায় প্রচার হয়।অবশেষে ভিকটিম বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,যার মামলা নং-০৫,তারিখ০৩/১২/২০২০ইং ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩)এর ৭/৯(১), তৎসহ ২০১২সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৮(১),তৎসহ ৩২৩/৩৭৯/৩২৮/৫০৬ পেনাল কোড।থানায় মামলা দায়ের করার পর র্যাব-১,গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন উক্ত গণধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে উক্ত মামলা ছায়া তদন্ত শুরু করেন ও সোর্স নিয়োগসহ র্যাবের সকল ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
১৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১,স্পেশালাইজড্ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্প,গাজীপুরের একটি আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার মনিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।অভিযানকালে গণধর্ষণ এবং পর্ণোগ্রাফী ভিডিও ভাইরালকারী মূলহোতা আসামী ১।মোঃ সোহাগ মিয়া(৩৫),পিতা-মোঃ আলাল মিয়া,মাতা-মোসাঃ ফিরোজা বেগম সাং-ভরাডোবা, থানা-ভালুকা,জেলা-ময়মনসিংহ,এ/পি-সাং-মনিপুর বিকে.বাড়ী (মকবুল হাসান এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া),থানা-জয়দেবপুর,জেলা-গাজীপুর’কে গ্রেফতার করা হয়।এসময় তার দখল হইতে উক্ত ধর্ষণের ভাইরালকৃত পর্ণোগ্রাফী ভিডিও সহ ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধর । ধৃত আসামী মোঃ সোহাগ মিয়া পেশায় একজন বাসের ড্রাইভার।ধর্ষক সোহাগ এবং তার অন্যান্য সহযোগী ০৩ বন্ধু মিলে গত ০৫-০৯-২০২০ তারিখ রাত ০৯.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম(২৩) কে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকা হতে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রাইভেটকার যোগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায় নিয়ে এসে একটি রুমের ভিতর আটক রাখে।পরবর্তীতে ভিকটিমকে কোকাকোলার সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অজ্ঞান করে ০৩ বন্ধু মিলে সারা রাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে। পরদিন সকালে ধর্ষকরা পুনরায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নিয়ে ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যায়।ভিকটিমের জ্ঞান ফিরে আসলে সে দেখতে পায় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহৃসহ রক্তপাত। তখন সে দরজা খুলে বাহিরে যেতে চাইলে বাহির থেকে রুমের দরজা তালাবদ্ধ পায়। ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উক্ত রুমের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিকটিমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে এবং তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।পরবর্তীতে ধর্ষক সোহাগ অর্থের বিনিময়ে উক্ত পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে এবং নিজেদের মুখে তার বর্ণনা দেয়।সে পূর্বেও অনেক মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করে।এছাড়াও র্যাব তাকে গ্রেফতারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে উক্ত গণধর্ষণের ভাইরালকৃত পর্ণোগ্রাফী ভিডিও ক্লীপ উদ্ধার করে।